দয়া করে মসজিদে এসব চেয়ার টানাটানি বন্ধ করুন।
আপনি সুস্থ হোন কিংবা অসুস্থ, নামাজ তো মাফ নেই, মসজিদে এসে নামাজ আপনাকে পড়তেই হবে। যদি কোনোভাবেই মসজিদে আসার সামর্থ্য না থাকে তাহলে বাড়িতেই নামাজটা আদায় করতে হবে। দাঁড়িয়ে পড়তে না পারলে বসে পড়তে হবে। তাও না পারলে শুয়ে শুয়ে ইশারার মাধ্যমে নামাজ পড়তে হবে। তারপরও নামাজ মাফ নেই।
ইদানিং মসজিদে এসে চেয়ারে বসে নামাজ পড়া একটি প্রথা আমাদের সমাজে পরিলক্ষিত হচ্ছে। আসলে মসজিদে যারা চেয়ারে বসে নামাজ আদায় করেন তারা নিজেরাই মুফতী সেজে ফতোয়া দিয়ে বসেন। কেউ কেউ সৌদি,কুয়েত, কাতার সহ আরব আমিরাতের দেশগুলোকে দলিল হিসেবে দাড় করিয়ে বলকে থাকেন, তারা যদি সোফায় বসে নামাজ পড়তে পারে আমরা পারবোনা কেনো? আসতাগফিরুল্লাহ। সৌদিআরব তো ইসলামের কোনো দলিল নয়, কুয়েত কাতার কিংবা আরবদেশগুলো কি ইসলামের দলিল?
এখনই যদি মসজিদে এইসব সব চেয়ার/সোফা টানাটানি বন্ধ না করা হয়। তাহলে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে এটা দলিল হয়ে দাড়াবে। তারা বলতে থাকবে, আমাদের বাপদাদারা চেয়ারে বসে নামাজ পড়েছেন। এটা যদি ঠিক না হতো তাহলে তারা কি চেয়ারে বসে নামাজ পড়তো?
প্লিজ ইসলাম কে এত সস্তা ভাববেন না, কারো মনগড়া ইসলাম চলবে না। কোরআন হাদীস যেভাবে বলে ঠিক সেভাবেই ইসলামের বিধানসমুহ পালণ করতে হবে। অবস্থা দিন দিন এমন হচ্ছে যে, কয়েক বছর পর জুমার নামাজে মসজিদ কমিটিকে ডেকোরেটর ভাড়া করতে হবে। আমাদের সমাজে এমন কিছু লোক আছে তারা হাটে ঘাটে মাঠে গিয়ে সারাদিন কাজকর্ম করতে পারেন অথচ সামান্য সময়ের নামাজের জন্য চেয়ার লাগে। এমনও দেখেছি সারা সপ্তাহে একদিন শুক্রবার আসলে মসজিদে চেয়ার ছাড়া বসতে চান না। এসব লোক কি চেয়ারে বসে বসে মসজিদে আসেন নাকি পায়ে হেটে আসেন?
যদি পায়ে হেটে মসজিদ পর্যন্ত আসতে পারেন তাহলে পায়ে ভর করে নামাজটাও আদায় করতে পারবেন। আপনি যদি দাঁড়িয়ে নামাজ পড়তে না পারেন তাহলে বসে নামাজ পড়বেন। তাও না পারলে ইশারার মাধ্যমে শুয়ে নামাজ পড়বেন। দাঁড়িয়ে সামাজ না পড়তে পারলে বসে পড়বেন সমস্যা নাই। চেয়ার ছাড়া ফ্লোরে বসে নামাজটা আদায় করবেন।
Comments
Post a Comment